প্রত্যয় ডেস্ক, বিশেষ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ, প্রেস রিলিজঃ অদ্য ১০/০৯/২০২০ খ্রিস্টাব্দ তারিখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিশেষ নির্দেশনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী এর সদয় আদেশ মোতাবেক জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিপণন রোধে বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে আজ কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায় বালুমহাল ও মাটি ব্যাস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(ছ) ধারা লংঘনের অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব দীপ্তিময়ী জামান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব গোলাম মুস্তাফা মুন্না। এ সময় ২টি মামলায় উক্ত আইনের ১৫(১) ধারায় ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ টাকা) জরিমানা আদায় করা হয় এবং ড্রেজারটি বিনষ্ট করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন বাজিতপুর থানা পুলিশ।
এছাড়াও আজ করিমগঞ্জ উপজেলায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা লংঘনের অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব তসলিমা নূর হোসেন। এ সময় ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং দুইটি ড্রেজার লবণ দিয়ে বিনষ্ট করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন করিমগঞ্জ থানা পুলিশ। এছাড়াও আজ সকাল ১১ টা হতে করিমগঞ্জের ৩ টি ইউনিয়নে বিভিন্ন মিলে অভিযান চালিয়ে ১৬০ মে.ট ধান সংগ্রহ করে সরকারি গুদামে গুদামজাতকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। পরবর্তীতে ইভটিজিং এর জন্য একজনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান, সড়ক ও পরিবহন আইনে ১ জনকে ২০০০/- জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও আজ তাড়াইল উপজেলায় মৎস্য সংরক্ষণ আইনে ৫০০০/- জরিমানা আদায় করা হয় ও নদী থেকে অবৈধ কারেন্ট জাল সহ প্রায় ১ কি.মি. অবৈধ জাল আটক ও ধ্বংস করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ তারেক মাহমুদ।
রিপোর্টঃ কৌশিক জামান